পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঈশ্বরের সাথে বিদ্রোহ

ছবি
জন্মদানবিরোধ ১ বাবার সাথে ঈশ্বরের (ধর্মগ্রন্থগুলোর কল্পিত ঈশ্বর) বড় মিলটা হলো - ঈশ্বর আমাদের (আমরা না চাইতেই, নিজের খেয়াল খুশিমত) সৃষ্টি করে নিজেকে বিশাল কিছু ভাবে। তেমনি বাবারাও জন্ম দিয়ে ভাবে, কী একটা মহিমান্বিত কাজ করে ফেলেছে! "এরচেয়ে ভালো হতো না কিছু,  যদি না হতো কভু জনম আমার। তারপরে ভালো হতো যদি জনমের পরে দেরি না করে ফিরে যেতাম আবার! কেননা যৌবনের নেশা কেটে গেলে,  জীবন আটকে পড়ে যন্ত্রণার জালে।  যন্ত্রণা, যন্ত্রণা কেবলই যন্ত্রণা; এই চক্র থেকে কারোরই কি মুক্তি মেলে?" মূল- সফোক্লিস  অনুবাদ - শামস অর্ক জন্ম, অর্থহীন জীবন, খাওয়া, ঘুম, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া, সেক্স, শনি-রবি-সোম গোনা,  সবুজ ঘাস, উঁচু পাহাড়,  নীল জলের সমুদ্র দেখে জীবন সুন্দর বলা, সবশেষে মৃত্যু! এসবেরই পুণরাবৃত্তি করানোর জন্য বাবাদের ভূমিকা অপরিসীম! ( অন্তত তাদের এত মহিমান্বিত করানোর মত কিছুই না তারা)  তারা আমাদের জন্ম দেয়, আমরা আবার সন্তানদের জন্ম দেই! চলতেই থাকে......  তারা যেমন আমরা না চাইতেই,  আমাদের অনুমতি না নিয়ে,  জোর করে জীবন চাপিয়ে দিয়ে, মৃত্যু অবধারিত জেনেও জন্ম দিয়ে বলে,  'দেখো!  তোমাদের কত কষ্ট ক

গান, গজল, কাওয়ালি ভাবানুবাদ

হয় বলে দাও আমরা মানুষ নই, না-হয় মেনে নাও তুমি ভগবান নও। ' নিজেদের ইচ্ছেতে আমরা আসিনি তো, তুমিই আমাদের দুনিয়াতে এনেছো। তবে কেনো তুমি আমাদের করুণা করো নাকো? ' ঘাবড়ে গিয়ে কখনো মনে হয়, মরে গেলেই বরং ভালো হয়। মৃত্যুও তোমার হাতেই, আবার বেঁচে থাকাও তো সহজ নয়!  ' হয় বলে দাও আমরা মানুষ নই, না-হয় মেনে নাও তুমি ভগবান নও। Movie: CHHAYA (1961) Singer: Mohammed Rafi Lyrics: Rajinder Krishan  Music: Salil Chaudhary https://youtu.be/ntolA3J1xDI মাথা যেথায় আপনা আপনি নত হয়না, তাকে তীর্থস্থান বলা যায় না। যে মাথা সব জায়গায় নত হয়ে যায়, তাকে মাথাও বলা যায় না। ক্বাবায় মুসলমানকেও কাফির বলা হয়, মদ্যশালায় কাফিরকেও কাফির বলা হয় না। سر جس پہ نہ جھک جائے اسے در نہیں کہتے ہر در پہ جو جھک جائے اسے سر نہیں کہتے کعبے میں مسلمان کو کہہ دیتے ہیں کافر مےخانے میں کافر کو بھی کافر نہیں کہتے বিসমিল সাঈদীর লেখা এবং নুসরাত ফতেহ আলী খানের গাওয়া কাওয়ালির উর্দু থেকে ভাবানুবাদ।   প্রথমবার প্রেমপত্র লিখতে, সময় তো লাগবেই পাখির প্রথমবার উড়তে, সময় তো লাগবেই।  শরীর না, তার হৃদয় পর্যন্ত যাওয়ার ছিলো দীর্ঘ এ পথ  পাড়ি দিতে সম
ছবি
আপনি যদি আপনার জীবনের সকল দুর্ভোগ থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি চান তাহলে আপনাকে এই ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে হবে যে, জীবন বা অস্তিত্বে সমাধান নেই বরং জীবন বা অস্তিত্ব থেকে মুক্তিলাভেই সমাধান । আপনি যেখান থেকেই শুরু করেন না কেন সমাধান বা উপসংহার একইরকম থাকবে। এই সমাধান বা উপসংহারকে একটু ভিন্নভাবে দেখা যাক-  মানুষ স্বাধীন নয় কেননা তাদের যখন খুশি জীবন থেকে তাৎক্ষণিক এবং বেদনাহীন মুক্তিলাভের উপায় নেই। আর এই উপায় না থাকার কারণ হলো, সবাই চায় অন্য সবাইকে নিজেদের অধীনস্থ করে রাখতে । এর মানে জীবন সহজাতভাবেই বন্দীশালা। অর্থাৎ জীবন সহজাতভাবেই 'দুর্ভোগ'।  জীবনকে সৎভাবে পর্যবেক্ষণ করলে উপরের কথাগুলোর সত্যতা দেখতে পাবেন । যেভাবেই আপনি পর্যবেক্ষণ করেন না কেন ফলাফল একই আসবে । আর তা হলো, 'জীবন মানেই দুর্ভোগ'।  আপনি যদি গভীরভাবে ভাবেন তবে দেখবেন, কীভাবে জীবনের সবচেয়ে চমৎকার বিষয়গুলোও দুর্ভোগের সাথে অবিচ্ছিন্নভাবে জড়িত । তাই উপরের কথাগুলো থেকে আমরা এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে , যেহেতু ' দুর্ভোগ অপ্রয়োজনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য ' আর জীবন মানেই ' দুর্ভোগ ' এর মানে দাঁড়ায় , "