স্মৃতির মালিকানা

কল্পনায় নাকি আকাশ ছুঁয়ে ফেলা যায়, কেবল আমিই তোমাকে ছুঁতে পারিনা। 

চায়ের দাগে অস্পষ্ট হওয়া পত্রিকার মত তোমায় আর আমি পড়তে পারি না৷ 

শুক্রবার বাজারের ফর্দে প্রায় ভুলতে বসা স্মৃতি কিনতে গিয়েছিলাম। 

দোকানি জানালেন, যা নিজের তা কিনতে পাওয়া যায় কী করে?

সাদা কাগজে সাদা কালিতে লেখা ফর্দ ঠোঁটে চেপে বিড়বিড় করতে লাগলাম -নিজের?

স্মৃতির মালিকানা তো দুজনের!


আমাদের শেষবার দেখায় স্টেশনের লোহার বেড়ের ওপাশে তুমি এপাশে আমি ছিলাম। যেনো আমরা দুজনই কয়েদি৷ 

হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন উঠে এলো, পাটাতন বেয়ে সোজা একজোড়া হাতের উপর।

এই ছিন্নভিন্ন হাত নিয়ে কারোরই আর কারো সামনে দাঁড়ানোর জো নেই। 

ভাবলাম তোমার যা কিছু ভুলভাল,  যা কিছু আমার বিশ্বাস ভাঙ্গার সবটাই ভুলে যাবো। 

কিন্তু তুমি আর তোমার ভুলভাল যেনো দিন রাতের আবর্তে ঘুরতে থাকা পাড়ার কিশোরদের চাঁদায় কেনা ফুটবল। 

তুমি স্মৃতিতে এলে সেসমস্তও নিয়ে আসো।

হুমায়ুন আজাদ যদি সবুজ ঘাস, ভোরের বাতাসের সাথে আমাদের ভালো থাকার জন্যও আশীর্বাদ করতেন!

তাহলে হয়ত আমাদেরও খারাপ থাকা হতো না।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কাফকার মেটামরফোসিস

ঈশ্বরের সাথে বিদ্রোহ

জন্মদানবিরোধ সব পর্ব একত্রে (শামস অর্ক)