তাজমহল-

তোমার কাছে এই তাজমহল ভালোবাসার প্রতীক হতে পারে এমনকি তাজমহলের পুরো উপত্যকা তোমার কাছে সম্মানীয় ও পবিত্র বলে বিবেচিত হতে পারে, সেটা ঠিক আছে। 

তবুও  আমাদের সাক্ষাৎ অন্য কোথাও হোক।

রাজসভায় গরীবের উপস্থিতি হাস্যকর! যে রাজকীয় পথ গরীব প্রেমিকদের উপহাস করে সে পথে কি আমার যাওয়া ঠিক হবে?

ভালোবাসার নিদর্শনের আড়ালে থাকা দাম্ভিকতার দিকে লক্ষ্য করো,

রাজকীয় কবর কি তোমাকে আনন্দ দেয়?

তবে তোমার অন্ধকার ঘরে তাকাও।

এই পৃথিবীতে অগণিত মানুষ ভালোবেসেছে।

কে বলে তাদের ভালোবাসা খাঁটি ছিলো না?

তাদের কেবল ভালোবাসাকে মানুষের সামনে এমন  প্রদর্শনী করার মতো সম্পদ ছিলো না। 

কারণ তারা আমাদের মতোই চরম গরীব!

এই মহল, এই সমাধি, এই দূর্গ স্বৈরাচারের মহিমার স্তম্ভ।

এই তাজমহলটা একটা নকশীকাঁথার মতো 

যার প্রতিটা সেলাইয়ে লেগে আছে আমাদের পূর্বপুরুষের রক্ত।

যারা নিজেরাও ভালোবেসেছিলো।

কিন্তু তাঁদের প্রেমিকাদের কবরে নাম লেখা তো দূরের কথা একটা মোমবাতিও জ্বালানো হয়নি!

এই নদীর তীরের যে বাগান, বাঁকা নকশার দরজা, দেয়াল, খিলান, সিন্ধুক এগুলো আসলে কী?

এগুলো আসলে এক সম্রাটের সম্পদের জোরে গড়া গরীব প্রেমিকদের প্রতি উপহাস!

প্রিয়তমা, আমাদের সাক্ষাৎ অন্য কোথাওই হোক।

(সাহির লুধিয়ানভির এই কবিতাটি পড়ে এতো ভালো লেগেছে যে ভিতর থেকে তাগিদ অনুভব করেছি মূলভাবটা নিজের মতো করে প্রকাশ করার।

তাজমহলকে আমরা ভালোবাসার নিদর্শন ভাবি কিন্তু মূলত এটি আমাদের মতো গরীব যুগলদের প্রতি একপ্রকার উপহাস)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কাফকার মেটামরফোসিস

ঈশ্বরের সাথে বিদ্রোহ

জন্মদানবিরোধ সব পর্ব একত্রে (শামস অর্ক)