পোস্টগুলি

ছবি
 প্রতিটি মানুষের মৃত্যু আমাকে কমিয়ে দেয়।  কারণ আমিও মানবজাতির সাথে জড়িত।  (মানবজাতির বিশাল সম্প্রদায়ের ছোট অংশ আমিও) অতএব কার জন্য ঘন্টা বাজছে সেটা জানার দরকার নেই।  এই ঘন্টা আপনার জন্যও শোকের ! (একটি অন্তেষ্টিক্রিয়ার ঘন্টা মৃত ব্যক্তির জন্য, আপনার জন্য এবং আমার জন্যও। ঘন্টা মৃত ব্যক্তির মৃত্যু ঘোষণা দেয় তাই ঘন্টাটা মৃত ব্যক্তির জন্য। মৃত ব্যক্তি শুনতে পাচ্ছে না তবুও ঘন্টাটা বাজানো হচ্ছে যেন লোকেরা শুনতে পায় সেহেতু আপনি শুনছেন মানে ঘন্টাটা আপনার জন্যও!) For Whom the Bell Tolls by John Donne (কবিতাটি পড়ে আমি যতটুকু বুঝেছি তা নিজের ভাষায় ভাবানুবাদ করার চেষ্টা করেছি। ছবির হস্তাক্ষর নিজের।)

আশাবাদ এবং হতাশাবাদ

একজন আশাবাদী এটা ভাবতে পারেন যে, জীবদ্দশায় তার সাথে খারাপ কিছু ঘটবে না। অপরদিকে একজন হতাশাবাদী বিশ্বাস করতে পারেন যে, তার সাথে খারাপ কিছু ঘটবে। তাদের মতামত, চিন্তা-ভাবনা ভিন্ন হলেও তারা দুজনই কিন্তু এই বিষয়ে একমত যে- পৃথিবীতে খারাপ ঘটনা ঘটে আর সে ঘটনাগুলো ভয়ংকর! ঘটনাগুলো তার সাথে ঘটবে কি-না সে বিষয়ে তারা ভিন্নমত হলেও খারাপ ঘটনা কারো না কারো সাথে ঘটে এই বিষয়ে একমত তারা।  আপনি যদি বাইরে যাওয়ার আগে ভাবেন বৃষ্টি আসার সম্ভাবনাই বেশি বৃষ্টি না আসার চেয়ে তবে নিশ্চয়ই আপনি কম সম্ভাবনাকে ধরে নিয়ে ছাতা রেখে যাবেন না।  ভালো বা খারাপ ঘটনার যেকোনো একটিই তো ঘটবে। মাঝামাঝি বলে তো কিছু হয় না।  তবে যদি খারাপ দিকটা বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তবে কি তাকে আপনি হতাশাবাদী বলবেন? 'উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি আমাদের গড় আয়ুকে বৃদ্ধি করবে' এই ভেবে আপনি আশাবাদী হতে পারেন। তবে আপনাকে ভুললে চলবে না যে, উন্নত চিকিৎসাপদ্ধতি মৃত্যুর তারিখ পেছাতে পারলেও মৃত্যুকে আটকাতে পারবে না।  (আর অমরতা ভালো কিছুও না।) আপনি অপরের কষ্ট দেখে নিজে এরচেয়ে ভালো আছেন ভেবে সুখের ভ্রমে থাকতে পারেন। তবে আপনি জানেন কি?  নিজেকে সুখী

শামস অর্কের যে লেখা আমার হৃদয় ছুঁয়েছে

 শরীরে কত রোগ বাসা বেঁধেছে, মনেও তাই! বেশিদিন বাঁচবো না জেনেও কেন আমাকেই ভালোবাসতে ইচ্ছে হয়?

অগোছালো চিন্তাগুলো - ১

 জীবন যদি এতো ক্ষণস্থায়ীই হবে! এ জীবনের জন্য এতো মায়া কেন তবে?

জন্ম(যন্ত্রণা)দাতা

 আজ পরীক্ষার হলে ম্যাম আমার পাশে দাঁড়ালেন। কিছুক্ষণ আমার খাতায় তাকিয়ে বললেন, 'তোমার হাতের লেখা তো অনেক সুন্দর। মাশাল্লাহ! ' একথা শোনার পর থেকে পুরোটা সময় মন খারাপ করে পরীক্ষা দিয়েছি। ম্যামকে বলতে ইচ্ছে হচ্ছিলো- 'ম্যাম, আপনি তো আমার হাতের লেখাটা দেখলেন, এর পেছনের সত্য গল্পটা জানলেন না!' " আমার শিশুকালের কথা। আমার বাবা আমাকে হাতের লেখা শেখাতেন লাঠি নিয়ে বসে। আমি ছোট্ট মানুষ!  ভয়ে কেঁপে কেঁপে লিখতাম। লেখা শেষে তিনি স্কেল দিয়ে মেপে মেপে দেখতেন সোজা হয়েছে কি-না।  একটু এদিক-সেদিক হলেই মারতেন, বকতেন, অপমান করতেন, খাবার বন্ধ করতেন! তিনি আমাকে বড় করতে চেয়েছেন একজন সেনাসদস্যের মতো করে!  ভোরবেলায় ঘুম থেকে ওঠা, শরীরচর্চা করা, পড়া, গোসল এবং খাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া।  তিনি আমার মধ্যে নিজের কার্বনকপি রেখে যেতে চেয়েছেন।   এজন্য আমার শৈশবটা নষ্ট করেছেন যেন হুবহু তার লেখার মতো আমার হাতের লেখা হয়।  হয়েছেও তাই। আমরা দু'জনবাদে কেউই আলাদা করে ধরতে পারে না। তিনি ভালো বাবা হওয়ার জন্য অধ্যবসায় করতেন। ভাবতেন আমার সাথে যা করছেন সবই আমার ভালোর জন্য। হোক কঠিন শাস্তি তবুও তা আমার সুন্দর
তাজমহল- তোমার কাছে এই তাজমহল ভালোবাসার প্রতীক হতে পারে এমনকি তাজমহলের পুরো উপত্যকা তোমার কাছে সম্মানীয় ও পবিত্র বলে বিবেচিত হতে পারে, সেটা ঠিক আছে।  তবুও  আমাদের সাক্ষাৎ অন্য কোথাও হোক। রাজসভায় গরীবের উপস্থিতি হাস্যকর! যে রাজকীয় পথ গরীব প্রেমিকদের উপহাস করে সে পথে কি আমার যাওয়া ঠিক হবে? ভালোবাসার নিদর্শনের আড়ালে থাকা দাম্ভিকতার দিকে লক্ষ্য করো, রাজকীয় কবর কি তোমাকে আনন্দ দেয়? তবে তোমার অন্ধকার ঘরে তাকাও। এই পৃথিবীতে অগণিত মানুষ ভালোবেসেছে। কে বলে তাদের ভালোবাসা খাঁটি ছিলো না? তাদের কেবল ভালোবাসাকে মানুষের সামনে এমন  প্রদর্শনী করার মতো সম্পদ ছিলো না।  কারণ তারা আমাদের মতোই চরম গরীব! এই মহল, এই সমাধি, এই দূর্গ স্বৈরাচারের মহিমার স্তম্ভ। এই তাজমহলটা একটা নকশীকাঁথার মতো  যার প্রতিটা সেলাইয়ে লেগে আছে আমাদের পূর্বপুরুষের রক্ত। যারা নিজেরাও ভালোবেসেছিলো। কিন্তু তাঁদের প্রেমিকাদের কবরে নাম লেখা তো দূরের কথা একটা মোমবাতিও জ্বালানো হয়নি! এই নদীর তীরের যে বাগান, বাঁকা নকশার দরজা, দেয়াল, খিলান, সিন্ধুক এগুলো আসলে কী? এগুলো আসলে এক সম্রাটের সম্পদের জোরে গড়া গরীব প্রেমিকদের প্রতি উপহাস! প্রিয়তমা, আম