পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাষ্ট্র বনাম অপরাধী

  নীতি নৈতিকতার কোনো মানদন্ডই সকলের মঙ্গল করবে না, সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না!  অতএব একজন নাগরিককে বিচারের আওতায় এনে মৃত্যুদন্ড দেয়া রাষ্ট্রের চরমতম অন্যায় ওই নাগরিকের প্রতি৷ সে যত বড় অন্যায়ই করুক না কেনো৷  যদি ভিক্টিম মনে করে আমার সাথে অন্যায়ের জন্য এই লোকের মৃত্যুদন্ড হওয়া উচিৎ তাহলে অপরাধীকে তার হাতেই ছেড়ে দেয়া উচিৎ। আমরা রাস্তায় দেখি পকেটমারকে সবাই মিলে মারধোর করছে৷ কিন্তু সবার পকেট তো সে মারে নি! অভাবে পড়ে, খাবারের কষ্টে পকেট মারার পরেও তা অন্যায় হলে তো শাস্তি দেওয়ার অধিকার শুধু তারই যার পকেট মারা হয়েছে৷ মারার অধিকার রাষ্ট্রেরও নেই! (বিস্তারিত লিখবো)

God is dead

নীটশের মতো আমিও মনে করি, ঈশ্বর মৃত ।  তার কাছে অভিযোগ করার কিছুই নেই৷  ঈশ্বর থাকলেও তাঁর কাছ থেকে ওহী আসতে যদি রাসূলগনেরই জিবরাইলকে বার্তাবাহক হিসেবে দরকার পড়ে তাহলে আমি মনে করি না, আমার আপনার কথা তার কাছে পৌঁছাবে মাধ্যম ছাড়া! 

দোয়াতের নিচের আন্ধার

ছবি
  আমরা বাবা দিবসে বাবাকে ভালোবাসি তা জনসম্মুখে প্রকাশের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেছে নেই। মা দিবস, শিক্ষক দিবস,  স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ আরো যত দিবস আছে আমরা সেই দিবসের প্রতি গভীর সম্মান রেখে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করি এবং তা যতটা সম্ভব পজিটিভ।  কিন্তু আমরা জানি দুনিয়াতে খারাপ বাবাও থাকতে পারে, খারাপ মায়ের খবরও সংবাদ মাধ্যমে হামেশাই চোখে পড়ে,  খারাপ শিক্ষকের কথাও জানি আমরা তবে তা নিয়ে তেমন একটা কথা বলি না কেউ।  আমাদের নজরে আসে সুন্দর আলোকিত বিষয়।  আমরা অন্ধকারে তাকাতে ভয় পাই। কেউ যদি সাহস করে বলেই ফেলি তখন এমন বক্তব্য আমরা পেশ করি - ঘরের কথা ঘরেই রাখুন, এসব এখানে না বলাই উচিৎ ।  কেনো? যদি ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকে তবে পাশাপাশি ধর্ম পালন না করারও স্বাধীনতা থাকা উচিৎ । যদি আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারো প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে পারি তাহলে মুদ্রার আরেকপিঠ  নিয়ে কেনো কথা বলতে পারবো না?  যদি মনে করেন এসমস্ত বিষয় এসব সাইটে না বলা উচিৎ  তবে সেই ব্যক্তিরই প্রশংসাসূচক বাক্য বলার স্বাধীনতা কেনো থাকবে?  একটা বিষয় দেখলাম, হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে অনেকেই ভালো ভালো কথা লিখেছেন। কেউ কেউ অবশ্য ব

কাফকার মেটামরফোসিস

 অনেকের মত আমারও ইচ্ছে হয় সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে কোথাও চলে যেতে।  প্রচন্ড বৈদ্যুতিক ছুতার কবিতার মত বলতে ইচ্ছা হয়, সাহিত্য-ফাহিত্য লাথি মেরে চলে যাবো শুভা! কিন্তু পারি না।  একই সাথে যদি থাকতে এবং চলে যেতে পারতাম! আমরা অনেক সময় বলি, আমি স্বাধীন এবং যখন যা মন চায় তাই করি।  কিন্তু আমি একই সাথে কোথাও যাবো আবার এখানেই থাকবো এমনটা কর‍তে পারবো?  কিছু খাবো আবার খাবো না একই সাথে?  কিংবা এই বইটা পড়বো আবার পড়বো না?  আসলে সব কিছুরই সীমাবদ্ধতা আছে।  স্রষ্টা সব পারেন যদি ধরে নেই তবুও তিনি এমন কিছু সৃষ্টি করতে পারেন না যা তিনি নিজে ধ্বংস করতে পারবেন না!  এই সীমাবদ্ধতার বেড়াজালে আমার আর হারিয়ে যাওয়া হয়না। যদিও মুখে বলি, কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা।    সমাজ,  পরিবার, ধর্মের বেড়াজাল থেকে পালাতে যেয়ে স্বপ্নে কখনো আরশোলা কিংবা গুবরেপোকা হয়ে যাই!  যেখানে আমি থাকি অস্তিত্ব এবং অনস্তিত্বের মাঝামাঝি! কাফকার মেটামরফোসিসের গ্রেগর স্যামসার মত ছটফট করতে থাকি। কিন্তু বেমালুম নাই হয়ে যাই সবার মাঝখান থেকে। আমার শূন্যতা কিছুটা খালি তো করবেই তবুও তা কতদিন? শোক,  আহাজারি কতদিন স্থায়ী হয়?  লেখক পেরোগ্রিনোসে প্রথম বই লেখ

স্মৃতির মালিকানা

কল্পনায় নাকি আকাশ ছুঁয়ে ফেলা যায়, কেবল আমিই তোমাকে ছুঁতে পারিনা।  চায়ের দাগে অস্পষ্ট হওয়া পত্রিকার মত তোমায় আর আমি পড়তে পারি না৷  শুক্রবার বাজারের ফর্দে প্রায় ভুলতে বসা স্মৃতি কিনতে গিয়েছিলাম।  দোকানি জানালেন, যা নিজের তা কিনতে পাওয়া যায় কী করে? সাদা কাগজে সাদা কালিতে লেখা ফর্দ ঠোঁটে চেপে বিড়বিড় করতে লাগলাম -নিজের? স্মৃতির মালিকানা তো দুজনের! আমাদের শেষবার দেখায় স্টেশনের লোহার বেড়ের ওপাশে তুমি এপাশে আমি ছিলাম। যেনো আমরা দুজনই কয়েদি৷  হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন উঠে এলো, পাটাতন বেয়ে সোজা একজোড়া হাতের উপর। এই ছিন্নভিন্ন হাত নিয়ে কারোরই আর কারো সামনে দাঁড়ানোর জো নেই।  ভাবলাম তোমার যা কিছু ভুলভাল,  যা কিছু আমার বিশ্বাস ভাঙ্গার সবটাই ভুলে যাবো।  কিন্তু তুমি আর তোমার ভুলভাল যেনো দিন রাতের আবর্তে ঘুরতে থাকা পাড়ার কিশোরদের চাঁদায় কেনা ফুটবল।  তুমি স্মৃতিতে এলে সেসমস্তও নিয়ে আসো। হুমায়ুন আজাদ যদি সবুজ ঘাস, ভোরের বাতাসের সাথে আমাদের ভালো থাকার জন্যও আশীর্বাদ করতেন! তাহলে হয়ত আমাদেরও খারাপ থাকা হতো না।